নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার এক প্রবাসীর বাড়িতে গভীর রাতে ডাকাতি কায়দায় হয়রানি করে বড় অংকের ঘুষ দাবি করেছেন জকিগঞ্জ থানার কর্মরত ঘুষখোর, দূর্নীতিবাজ কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম।
এ ঘটনায় রোববার (১৫ জুন) সিলেট জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জকিগঞ্জ উপজেলার মাইজকান্দি গ্রামের বাসিন্দা রফিক আহমদের ছেলে প্রবাসী সুহেল আহমদ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোহেল আহমদ একজন কাতার প্রবাসী ও রেমিটেন্স যোদ্ধা। তিনি দীর্ঘ সাত বছর পর বিগত ৯ জুন বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে ১০ জুন বাড়ীতে এসে পৌছান এবং প্রবাস হইতে যেসব মালামাল সঙ্গে নিয়া দেশে আসছিলেন এগুলো পাননি। এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ জানান ১২ জুন সিলেট এয়ারপোর্ট মালামাল রিসিভ করার জন্য। এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের কথা অনুযায়ী তিনি বিগত ১২ জুন সিলেটস্থ এয়ারপোর্ট থেকে ল্যাগেজ রিসিভ করে সঙ্গীয় প্রাইভেট গাড়ী দিয়ে বাড়ীতে রওনা করেন। রাস্তায় হঠাৎ গাড়ীটি নষ্ট হয়ে যায় পরে গাড়ী মেরামত করিয়া বাড়ী ফিরতে রাত্র অনুমান ৩:০০ ঘটিকা হয়ে যায়। বাড়ীতে পৌছার সাথে সাথে উল্লেখিত কং-৪৬৬/সাইফুল ইসলাম সহ তাহার সঙ্গে থাকা আরো ৫ জন লোক নিয়ে ডাকাতির কায়দায় ২টি মোটরসাইকেল যোগে সিভিল ড্রেসে বাড়ীতে যায় এবং পুলিশ পরিচয় না দিয়ে জোরপূর্বক বেআইনী ভাবে ঘরে প্রবেশ করে তল্লাশি শুরু করেন। একপর্যায়ে কং-৪৬৬/সাইফুল ইসলাম প্রবাস হইতে আনা ল্যাগেজটি টানা হেচড়া করিয়া মাটিতে ফেলিয়া তল্লাশী করিয়া প্রবাসীকে বলেন, বিদেশ হইতে অবৈধ মালামাল দেশে নিয়ে আসা হয়েছে তাহা বাহির করে দেওয়ার জন্য। তখন প্রবাসী ও তার পরিবারের লোকজন বলেন দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরে কোন অবৈধ মালামাল সাথে নিয়া আসা হয়নি। প্রবাসী আরোও বলেন দেখেন ভাই ৩টি এয়ারপোর্ট পার করে বাড়ীতে এসেছি যদি কোন অবৈধ মালামাল নিয়া আসতাম তাহলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমাকে এয়ারপোর্টেই আটক করত। এই কথা বলার সারে সাথে কং-৪৬৬/ সাইফুল ইসলাম বলেন, “যদি কোন কিছু না থাকে তাহলে আমাকে খরচা হিসাবে নগদ ২০ হাজার টাকা দিয়া দেও আমরা চলে যাই”। তখন প্রনাসী বলেন আপনাকে টাকা কেন দেব বলার সাথে সাথে কং-৪৬৬/সাইফুল ইসলাম ক্ষীপ্ত হয়ে প্রবাসীকে চর থাপ্পর মেরে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং একাধিক মামলায় ঢুকাইয়া বাঁশ দেওয়ার কথা বলেন। এমতাবস্থায় কং-৪৬৬/সাইফুল ইসলাম এর এসব হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখানোর প্রেক্ষিতে প্রবাসী ও তার পরিবারবর্গ জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি একজন সাধারণ কনস্টেবল। সঙ্গীয় ফোর্স হিসাবে অন্যান্য এসআইদের সাথে গিয়েছি। এছাড়া আমার কিছু বলার নেই।
Leave a Reply